রিয়া গিরি : আফগানিস্তান থেকে ৯০ শতাংশ সেনা প্রত্যাহার করেছে মার্কিন ফৌজ।গত এপ্রিল মাসেই মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে সমস্ত মার্কিন সামরিক কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন সরে যাওয়ার জন্য। তারপরেই তালিবানরা মস্কো থেকে ঘোষণা করলেন তাদের কাছে আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ ভূখণ্ড রয়েছে। এমনটাই ঘোষণা করেছেন তালিবান নেতা শাহাবুদ্দিন দেলাওয়ার।
দু'দশক ধরে লড়াই চলার পর, এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি সবকটি সেনাবাহিনী আফগানিস্তানের মাটি থেকে সরে যাচ্ছেন। ফলে আফগানিস্থানে নতুন এলাকা নিয়ন্ত্রণের হাতে চলে আসছে তালিবানদের। এদিনই আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল শহরের উত্তরে অবস্থিত বাগরাম বিমানঘাঁটিতে আফগান সেনার হাতে তুলে দিয়েছেন মার্কিন সেনারা।বিগত দুই দশকের বেশি সময় ধরে তালিবান আল-কায়েদার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় এই ঘাঁটি ছিল মার্কিন বাহিনীর মূল কেন্দ্র। মার্কিন সামরিক বাহিনী অনেকভাবেই আফগান সেনাদের সাহায্য করেছেন। কিন্তু মার্কিন সেনা ঘাঁটি আফগান সুরক্ষা বাহিনীকে হস্তান্তর করে, আফগানিস্তান থেকে প্রায় এক হাজার সি-১ যুদ্ধবিমান এবং আরও নানান সামরিক সরঞ্জাম দেশে ফিরে নিয়ে যাচ্ছেন তারা।
দু শতক কেটে গেলেও তালিবানদের বিনাশ এবং প্রভাব সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি।ফলে তালিবানদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে এবার দেশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে হোয়াইট হাউস। আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, ২০০১ সালের ৯/১১ হামলার পর 'মিশন আফগানিস্তান' শুরু করেছিলেন মার্কিন ফৌজ। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জুনিয়র। তিনি আফগান মিলিটারিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাসখানেকের লড়াইয়ের পর তালিবানকে কাবুল থেকে বিতাড়িত করতে পেরেছিলেন, কিন্তু দু'দশক কেটে গেলেও তালিবাদের সম্পূর্ণভাবে বিনাশ করা সম্ভব হয়নি। সূত্রের খবর, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে সকল মার্কিন সেনারা আফগান মাটি ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্পেশাল ফোর্সের সদস্যরা চলে যাবেন কিনা তা এখন ও স্পষ্ট নয়। আফগানিস্তানে তালেবানদের উত্থান কতটা হবে তা নিয়ে বৈদেশিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে তালিবান গোষ্ঠীর এমন ঘোষণার পর থেকেই উঠেছে ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা জল্পনা।
Tags:
দেশ ও বিদেশ