বাংলায় সৌরভকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চমক দীনেশ কার্তিকের

 বাংলায় সৌরভকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চমক দীনেশ কার্তিকের

শ্রমণ দে : ৪৯ বছরে পা দিলেন মহারাজ, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ধোনির জন্মদিনের রেশ কাটতে না কাটতেই সৌরভের জন্মদিন। টুইটারে শুভেচ্ছার বন্যায় ভাসছেন বিসিসিআইয়ের বর্তমান সভাপতি। বীরেন্দ্র শেওয়াগ, ঋষভ পন্থ, হরভজন তো বটেই আইসিসি, বিসিসিআইয়ের টুইটার পেজ, স্টার স্পোর্টস কে শুভেচ্ছা জানায়নি বাংলার আইকনকে।

তবে সবথেকে অভিনব উপায়ে শুভেচ্ছা জানালেন দীনেশ কার্তিক এবং শচীন তেন্ডুলকর। ইয়ন মর্গ্যান ইউএই পর্বে অনিশ্চিত হয়ে পড়ায়, কেকেআরের সম্ভাব্য আগামী দলনেতা কার্তিক।

বাংলায় সৌরভকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চমক দীনেশ কার্তিকের
বাকিদের মত ‘happy birthday’ লেখার বদলে সৌরভকে শুভেচ্ছা জানাতে দীনেশ কার্তিক ইংরেজি হরফেই লিখলেন ‘শুভ জন্মদিন, আপনার নেতৃত্বে অভিষেক ঘটানোর পর্ব এবং সবসময় আপনার সমর্থন কখনো ভুলব না।’ ১৯ বছর বয়সে জাতীয় দলের জার্সিতে দীনেশ কার্তিক অভিষেক ঘটান ২০০৪-এর সেপ্টেম্বরে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ নির্ণায়ক ওয়ানডেতে ডিকেকে রেখেই দল সাজানো হয়েছিল সেবার।

শচীন আবার বাংলা হরফেই সৌরভকে লেখেন, “আমার প্রিয় দাদি। শুভ জন্মদিন। আপনার সামনে একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুখী বছর কামনা করি|”

দীনেশ কার্তিক শুভেচ্ছা বার্তা জানানোর সঙ্গেই তাঁর সঙ্গে সৌরভের করমর্দনের একটি ছবি পোস্ট করেন। সেই ভিডিওর সঙ্গেই কার্তিক একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যেখানে তিনি জানাচ্ছেন, কীভাবে একবার সৌরভকে ক্রুদ্ধ করে তুলেছিলেন তিনি।

ব্রেকফাস্ট উইথ চ্যাম্পিয়ন-এর একটি শেয়ার করা ক্লিপে দীনেশ কার্তিককে দেখা যাচ্ছে সঞ্চালক গৌরব কাপুরের সঙ্গে সাক্ষাৎকার সারছেন। সেখানেই কার্তিক খোলসা করেন কীভাবে একবার ২০০৪-এর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে রাগিয়ে তোলেন সেইসময়ের জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন সৌরভকে।

বাংলায় সৌরভকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চমক দীনেশ কার্তিকের
ভারত-পাকিস্তান দু-দলই মাস্ট উইন ম্যাচে নেমেছিল মাঠে। সেই ঘটনা স্মরণ করে কার্তিক বলছিলেন, “সেই সময় আমার ১৮-১৯ বছর বয়স। আমাকে সেই ম্যাচে প্রথম একাদশে রাখা হয়নি। পাকিস্তান ভারতের রান তাড়া করছিল। ৬০ রানে ২ উইকেট হারিয়েও ফেলেছিল। সেখান থেকে ইনজামাম উল হক এবং ইউসুফ ইউহানা দলকে ১২০-২৫ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার পরে ব্রেকথ্রু পায় ভারত।”

ড্রিংক্সের বিরতিতে গোটা ভারতীয় দল গোল হয়ে শলা পরামর্শ সারছিল। টানটান সেই লগ্নে সৌরভ ছিলেন সেই টিম হার্ডলের মাঝখানে। সেই সময়েই ড্রিংক্স নিয়ে মাঠে দৌড়তে দৌড়তে ঢোকেন কার্তিক। টিম হার্ডলের কাছে এসে নিজেকে সামলাতে না পেরে সরাসরি ধাক্কা দিয়ে বসেন সৌরভকে। সৌরভও আচমকা ধাক্কায় কয়েক ধাপ পিছিয়ে যান। তারপরেই ক্রুদ্ধ সৌরভ বলে দেন, “কাহা কাহা সে লাতে হো ইন লোগো কো!”

Post a Comment

Previous Post Next Post