ঈশিতা সাহা : করোনার প্রভাব পড়ছে এবার পাটের দামে। ফলে রীতিমতো উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে পাট চাষীদের মধ্যে। মালদহের চাচল মহাকুমার পাট চাষীদের দাবি, গত কয়েক দিনে কুইন্টাল পিছু পাটের দাম কমে গিয়ে হয়েছে দু- হাজার টাকা।
করোনা আবহে জুটমিল গুলিতে পাটের চাহিদা একেবারে কমে গিয়েছে
ফলে তার প্রভাব ফেলছে দামের উপর। কৃষি দপ্তর ও ব্যবসায়ীদের সূত্র থেকে দাম কমে যাবার
এই একই কারণ উঠে এসেছে। কিন্তু হঠাৎ এই পরিস্থিতি সামলে ওঠা পাটচাষীদের কপালে চিন্তার
ভাঁজ এনে দিয়েছে। বিপাকে পড়েছেন, চড়া দামে পুরনো পাঠ মজুদ করে রাখা ছোট-বড় ব্যবসায়ীরাও।
শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ হলদিয়া পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল কুমার আদক এর বিরুদ্ধে এফআইআর
কৃষি দপ্তরের চাচল ১ নম্বর ব্লকের সহ অধিকর্তার দীপঙ্কর দে
বলেন,"গত বছরের তুলনায় এবার বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে। করোনার জন্য পাট বাইরে
যাচ্ছে না। তাই দাম কমেছে।"
কৃষি দপ্তর সূত্রের খবর, চাচল মহাকুমার মোট ছটি ব্লকে হেক্টর
জমিতে প্রায় ২২ হাজার পাঠ চাষ হয়েছে। পাশাপাশি সমানভাবে খরচ বেড়েছে। আগের বছরে দামের
ওপর নজর রেখে এবার আরো বেশি পাট চাষে ঝুঁকি নিয়েছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টে যাওয়াই
ক্ষতির মুখ দেখতে বসেছেন চাষিরা।
সুন্দরবনে এ বছরেই ৭.৫ কোটি ম্যানগ্রোভ চারা রোপনে তৎপর বিজ্ঞানীরা
সিপিএমের কৃষক সংগঠনের নেতা শেখ খলিল বলেন,"রবিবার পাটের দাম ছিল সাড়ে সাত হাজার টাকা কুইন্টাল। দাম আরো কমতে থাকলে চাষীদের পথে বসতে হবে।"তবে আশা রেখেছেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের পাটের দাম পাবেন চাষিরা।