রিয়া গিরি : হলদিয়া বন্দরের খ্যাতি আন্তর্জাতিক বাজারে ও রয়েছে। কিন্তু হলদিয়া বন্দরে মালপত্র লোডিং এর কাজে দিন দিন চলেছে কালোবাজারি।অবশেষে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ, হলদিয়া পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল কুমার আদক এর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করেন এক ব্যবসায়ী। শুভেন্দু অধিকারী দীর্ঘদিন ধরে হলদিয়ার সমস্ত কাজে যুক্ত ছিলেন, কিন্তু দল পরিবর্তন করার পর তিনি যেন হলদিয়া থেকে পুরোপুরি ভ্যানিশ। শিল্পশহর হলদিয়ায় বেশ কয়েকজন ট্রান্সপোর্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল কুমার আদক দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস এর সাথে যুক্ত রয়েছেন। কিন্তু ২০২১ এর ভোটের আগেই তিনি নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন। তা নিয়েই শুরু হয়েছিল অনেক জল্পনা। কেউ কেউ বলেছিলেন,তিনি বিজেপিতে যোগদান করবেন ।
রক্তদান; কর্কট রোগ থেকেও মিলবে মুক্তি
কিন্তু আচমকাই শ্যামল বাবুর বিরুদ্ধে এবং তার ঘনিষ্ঠ রাজীব পাল নামে আরেক জনের বিরুদ্ধে এফআইআর এর তদন্ত শুরু করেছেন পুলিশ। শ্যামল কুমার আদক কে ফোন করে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু মোবাইল বন্ধ থাকায় তার কোনো বিশেষ প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
সূত্রের খবর, জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন,বন্দর এলাকায় লোডিং আনলোডিং এর কাজে বাধা পেয়ে একজন ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ীর শ্যামল কুমার আদক এর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন। ঘটনাটি ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়ে গেছে। অভিযোগকারী বলেন, ২০১৮সাল থেকে তিনি ব্যবসায় নেমেছেন এবং হলদিয়া বন্দর থেকে মালপত্র নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিতেন তিনি। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, বন্দরের ভেতরে ঢোকার জন্য সেখানকার শ্রমিক ভবনের সিন্ডিকেট কর্তার হাতে ১০০ টাকা
দিতে হতো তাকে। বিনিময়ে পাওয়া স্লিপ দেখালেই ভেতরে প্রবেশ মিলত। ব্যবসা শুরুর দিকে
স্লিপ ৫০০টাকা দিয়ে সংগ্রহ করতে হতো শ্যামল বাবুর ঘনিষ্ঠ কালুর কাছ থেকে।একটি গাড়ি স্লিপ ছাড়াই ভেতরে ঢোকানো হলে,লোডিং বন্ধ করে দেওয়া হয়।পরে ক্ষতিপূরণ দিয়ে ও ক্ষমা চাইলে রেহাই মেলে।
সামান্য টাকার বিনিময়ে দেওয়া হবে সরকারি চাকরি, প্রতারণার নজির কাটোয়া
অভিযোগকারী শেখ শাহাদাত আলী বলেন,খড়্গপুরের একটি কোম্পানি তাদের ট্রান্সপোর্ট এর মালপত্র নেবে না বলে জানিয়ে দেয় , এরপর শ্রমিক ভবনে শ্যামল আদক এর কাছে ছুটে গিয়ে
জানতে পারেন, তাকে দিয়ে আর কোন কাজ করানো হবে না।
তখন তিনি বুঝতে পারেন ঘটনাটির পেছনের শ্যামল বাবুর হাতে রয়েছে এবং চরম ক্ষতির মুখে পড়ে ওই ব্যবসায়ী। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে ভয় দেখানো হয় তাকে। তাই তিনি এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করেছেন।