অম্লিতা দাস : বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়িতে বসে করলেন ফেসবুকে পোস্ট। ' চললাম, Alvida' লিখে জানালেন রাজনীতি থেকে ছুটি নিচ্ছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, বিজেপি রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষের সাথে মতান্তরে তাঁর এই সিদ্ধান্ত।
ফের গরহাজির বনগাঁর বিজেপির নেতা, বিধায়কেরা
ফেসবুক পোস্টে লিখলেন রাজনীতি ছাড়াই সমাজসেবা করতে উদ্যোগী তিনি। সাংসদপদ থেকে ইস্তফা নেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড়। তাঁর এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির কথায়, "বাবুলের এই রুপ সেই ১৯৯২ সালের মত। যখন সে মুম্বাইয়ে লড়াই করে প্রতিষ্ঠার আশায় গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসে বসেছিলেন। তখনও সে কারো কথা,
কারো বারণ শোনেননি। এবারেও একই। প্রধানমন্ত্রী বললেও সে তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন। এর আগেও বিজেপির প্রথম সারির নেতারা তাঁকে বারণ করেছিল তবু সে শোনেনি।"
মাওবাদীদের দখলে স্টেশন, বদ্ধ ট্রেন চলাচল
গত
বেশ কিছুদিন
রাজনীতি ছাড়ার ব্যাপারে সিধান্ত নিচ্ছিলেন তিনি। সে বিষয়ে কথা বলছিলেন তাঁর ঘনিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে। ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের দাবি, রাজনীতিতে কিছু নেতাদের ওপর ক্ষোভ ও অভিমানকে ঘিরেই এমন সিদ্ধান্ত সাংসদের। একাধিক অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন ও একাধিক কৈফিয়তের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। বাবুলের এক বন্ধুর দাবি, "ওঁ তো কখনও টাকা পয়সার জন্য রাজনীতি করেনি। নিজের জীবনে ও যথেষ্ট ভালোভাবে প্রতিষ্ঠিত। তবে সে কেন এত কৈফিয়তের মুখোমুখি হবেন।"
শেষ ভোটে পরাজয় ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব থেকে বাদ পড়ে মনক্ষুণ্ণ ছিল তাঁর। সে থেকেই এসেছিল রাজনীতি ছাড়ার ভাবনা। সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মুম্বাইও যান তিনি। ফোন থেকে ডিলিট করেন ফেসবুক ও টুইটার। দিল্লিতে ফিরে পুনরায় ফেসবুক পোস্ট চলতে থাকে। সাথেই বাড়ে জল্পনা।
দিনের পর দিন তাঁর ফেসবুকের পোস্ট ঘিরে একাধিক মন্তব্য ও জল্পনার পরে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গানের সাথে দীর্ঘ স্ট্যাটাস লিখে রাজনীতি থেকে বিদায়ের ঘোষণা করলেন বাবুল সুপ্রিয়।
৪৪ বছর পর বামপন্থীদের হাত ছাড়া হল ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েত
রাজনীতিতে পা দিয়ে লোকসভা থেকে আসানসোলে জিতে পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্বের আসন। পর পর দুটি লোকসভা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। দুদফায় কেন্দ্রে মন্ত্রীও হন। তবে নেতাদের সাথে সংঘাত শুরু হয় বিধানসভা ভোটে হারের পর। আনুমানিক তার জন্যই ফেসবুকে রাজনীতিকে জানালেন 'আলভিদা'।