সার্বভৌম সমাচারঃ বাজার থেকে কিছু কিনে এনেই আগে ফ্রিজে রাখেন? খাবারের মেয়াদ আছে কিনা দেখেন? ভেবেছেন কখনও? ফ্রিজে রাখা খাবারগুলো কিন্তু চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। দিনের পর দিন খাবার গুলো ফ্রিজে রেখে খাচ্ছেন, এটি কত ক্ষতিকার? জেনে নিন।
যেকোনো খাবার
বিশেষ করে দুগ্ধজাত খাবার ও ডিম দিন দুয়েক এর বেশি ফ্রিজে না রাখাই শ্রেয়। এছাড়াও বিশেষ
করে শাক সবজি ফ্রিজে রেখে দিলে তার পুষ্টি গত মান কমে যায়। কাটা ফল থেকে বিষক্রিয়া
পর্যন্ত হতে পারে এই ফ্রিজে রাখলে। কোন খাবার কতদিন ফ্রিজে রাখা যাবে সে বিষয়ে অর্থনীতি
মহাবিদ্যালয়ের রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড অন্ট্রাপ্রেনারশিপ বিভাগের অধ্যাপক তাসমিয়া জান্নাত জানান,
১. বাড়িতে অনেকেই আদা, পেঁয়াজ, রসুন বেটে ফ্রিজে রেখে দেন। কিন্তু এই পেঁয়াজ বাটা ফ্রিজে সংরক্ষণ করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ, পেঁয়াজ দ্রুত পচনশীল। খাবারে বিষক্রিয়া পর্যন্ত হতে পারে এই কারণেই। তবে আদা এবং রসুনবাটা এক সপ্তাহ ফ্রিজে রাখা যেতে পারে।
২.
দুধ ফুটিয়ে আমরা সাধারণত ৪-৫ দিন
ফ্রিজে রেখে দিই। কিন্তু ফোটানো দুধ ৪৮ ঘণ্টার বেশি
না রাখাই ভালো।
দুধ যদি একান্তই সংরক্ষণ করতে চান, তাহলে তা ডিপ ফ্রিজে
রেখে দিতে পারেন। এ অবস্থায় ৭-৮
দিন
পর্যন্ত দুধ ভালো থাকবে।
মানবিক : ব্যাগ ভর্তি টাকা পেয়ে মালিকের হাতে ফিরিয়ে দিলেন টোটো চালক
৩. যেকোনো সবজি ফ্রিজে রাখার আগে তা ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকাতে দিন। শুকিয়ে যাওয়ার পরেই নেটের ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রাখুন। এতে করে সবজি অনেক দিন ভালো থাকবে। তবে সবজির পুষ্টিগত মান কমে যাবে।
৪. যেকোনো রান্না করা খাবার ফ্রিজে না রাখাই ভালো ৪৮ ঘণ্টার বেশি । কারণ, ফ্রিজে রাখা খাবার বারবার জাল দেওয়ার কারণে পুষ্টিগুণ হারায়। তবে খুব বেশি প্রয়োজনে ডিপ ফ্রিজে মাংস রান্না করে রাখতে পারেন। সেটাও এক সপ্তাহের বেশি রাখা ঠিক হবে না।
আবারও লক্ষাধিক টিকার যোগান পেল বাংলা
৫. অনেকেই আছেন যারা সারা সপ্তাহ বা মাসের ডিমটা একবারেই কিনে রাখেন। এটাও করা উচিত নয়। ডিম সাধারণত কম তাপমাত্রায় তিন দিন পর্যন্ত রেখে দিয়ে খাওয়া উচিত।
৬. বাড়িতে বানানো এমন ফলের জুস কখনোই ফ্রিজে রাখা ঠিক নয়। কারণ, ফল কেটে রাখলে তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। একই কারণে জুস বানানোর সঙ্গে সঙ্গেই তা খেয়ে নেওয়া ভালো।