
মোল্লা আতাউর রহমান মিন্টু, ঢাকা : রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারীতে জঙ্গীদের হামলাটি ছিল বাংলাদেশে সব চেয়ে বড় জঙ্গী হামলা। দেশে অরাজকতা সৃষ্টি লক্ষ্যে এবং মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ইসলাম কায়েমের নামে সেদিন জঙ্গীরা এ হামলা চালিয়ে অনেকের প্রাণ কেড়ে নেয়। নৃশংস এই জঙ্গি হামলার ৪ বছর পূর্তি পালিত হল গতকাল পহেলা জুলাই।
২০১৬ সালের এদিনে গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিজান বেকারীতে ঢুকে জঙ্গিরা জিম্মি করে ফেলে সকলকে। ভয়াবহ এ হামলায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ এবং প্রায় ১২ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস জিম্মি সংকটের ঘটনা জাতিকে স্তম্ভিত করেছিল। এ অবস্থায় পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো সদস্যরা ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’ অভিযান চালিয়ে অবসান ঘটায় জিম্মিদশার। অভিযানে মৃত্যু হয় হামলাকারী ৫ জঙ্গির।
আরও দেখুন--
হামলা শুরুর দুই ঘণ্টা পর আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টায় জঙ্গীরা পুলিশ অফিসার ও ফোর্সদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে অন্তত ২৫ জন পুলিশ মারাত্মক আহত হন। এরপর ঘটনাস্থলে যান তৎকালীন র্যাবসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের অফিসার ও ফোর্স। কর্ডন করা হয় হলি আর্টিজানকে। রাত দেড়টায় ইন্টারনেটে হামলাকারী ৫ তরুণের ছবি প্রকাশ করে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
২ জুলাই সকাল আনুমানিক ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে জিম্মিদের উদ্ধার ও জঙ্গীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন। ১২ থেকে ১৩ মিনিটের মধ্যেই সব জঙ্গীদের নির্মূল করা সম্ভব হয়। পরে এখান থেকে ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ৯ জন ইতালি নাগরিক, জাপানের ৭ জন, ভারতীয় একজন এবং বাংলাদেশী তিনজন নাগরিক। এ ব্যাপারে মামলা হলে তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে মামলার আট আসামির সাতজনকে মৃত্যুদন্ড ও একজনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
২ জুলাই সকাল আনুমানিক ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে জিম্মিদের উদ্ধার ও জঙ্গীদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন। ১২ থেকে ১৩ মিনিটের মধ্যেই সব জঙ্গীদের নির্মূল করা সম্ভব হয়। পরে এখান থেকে ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ৯ জন ইতালি নাগরিক, জাপানের ৭ জন, ভারতীয় একজন এবং বাংলাদেশী তিনজন নাগরিক। এ ব্যাপারে মামলা হলে তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে মামলার আট আসামির সাতজনকে মৃত্যুদন্ড ও একজনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
এটা সত্য যে, গুলশানে জঙ্গী হামলায় আইনশৃংখলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে জঙ্গীদের তৎপরতা অনেক কমে গেছে। জঙ্গীদের দেশে কোনো বড় ধরনের আস্তানা নেই। সব আস্তানা পুলিশ গুড়িয়ে দিয়েছে। তবে তাদের বিচ্ছিন্ন তৎপরতা রয়েছে। যে কারণে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে মাঝেমধ্যে জঙ্গী গ্রেফতারের খবর আমরা সংবাদপত্র থেকে পেয়ে থাকি।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, দেশে জঙ্গি গোষ্ঠী যথেষ্ট পরিমাণে নিয়ন্ত্রণে আছে। আত্মতুষ্টি নয়- জঙ্গি দমনের যে সফলতা অর্জন করেছি, সেই সফলতা ধরে রাখতে র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব ইউনিট কাজ করছে।
তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম একটু শঙ্কার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, করোনাকালে মানুষ ধর্মীয় সাইটগুলোতে বেশি ভিজিট করছেন। এ সুযোগে জঙ্গি সংগঠনগুলোর সদস্যরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। লোন-উলফ হামলার জন্য তারা সংগঠনের সদস্যদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছে। হলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস হামলার চার বছর পালনে ঘটনাস্থলে এসে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দেশের আইনশৃংখলা বাহিনীর দুই শীর্ষ কর্মকর্তা এ মন্তব্য করেছেন।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, দেশে জঙ্গি গোষ্ঠী যথেষ্ট পরিমাণে নিয়ন্ত্রণে আছে। আত্মতুষ্টি নয়- জঙ্গি দমনের যে সফলতা অর্জন করেছি, সেই সফলতা ধরে রাখতে র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব ইউনিট কাজ করছে।
তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম একটু শঙ্কার কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, করোনাকালে মানুষ ধর্মীয় সাইটগুলোতে বেশি ভিজিট করছেন। এ সুযোগে জঙ্গি সংগঠনগুলোর সদস্যরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। লোন-উলফ হামলার জন্য তারা সংগঠনের সদস্যদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছে। হলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস হামলার চার বছর পালনে ঘটনাস্থলে এসে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দেশের আইনশৃংখলা বাহিনীর দুই শীর্ষ কর্মকর্তা এ মন্তব্য করেছেন।
আরও দেখুন--
জঙ্গী বা সন্ত্রাসী দমনে আইনশৃংখলা বাহিনীর যে অবদান তা নিসন্দেহে প্রশংসনীয়। অনেক সময় তারা জীবন নিয়ে জঙ্গী দমন করেছেন। সিলেটেও জঙ্গী আস্তানায় হামলা চালানোর সময় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের বড় এক কর্মকর্তা সেদিন মারা যান। এই যে জঙ্গী তৎপরতা তা শুধু বাংলাদেশে নয়- বিশ্বের অনেক দেশে কম বেশি রয়েছে। সেখানে বড় ধরনের হামলার ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু সে দেশের পুলিশ আমাদের দেশের পুলিশের মতো বড় দাগে জঙ্গী দমন করতে পারেনি। এটা বলতে হবে সরকারের সঠিক নির্দেশনা এবং আমাদের পুলিশের মনবল, কৌশল ও দক্ষতার পরিচয়।
সুতরাং আমরা বলতে চাই- জঙ্গী তৎপরতা নিয়ে ডিএমপি কমিশনার যে শঙ্কার কথা বলেছেন তা মাথায় রেখে জঙ্গী দমনে আরো কঠোর হতে হবে। এ জন্য সদাসতর্ক থাকতে হবে। করোনার মধ্যে জঙ্গী গোষ্ঠী যাতে দেশের পরিবেশকে অনিষ্ট করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। হলি আর্টিজানের পুনরাবৃত্তি আর দেখতে চাই না।
সুতরাং আমরা বলতে চাই- জঙ্গী তৎপরতা নিয়ে ডিএমপি কমিশনার যে শঙ্কার কথা বলেছেন তা মাথায় রেখে জঙ্গী দমনে আরো কঠোর হতে হবে। এ জন্য সদাসতর্ক থাকতে হবে। করোনার মধ্যে জঙ্গী গোষ্ঠী যাতে দেশের পরিবেশকে অনিষ্ট করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। হলি আর্টিজানের পুনরাবৃত্তি আর দেখতে চাই না।
আরও দেখুন--
লেখক: বিশিষ্ট সাংবাদিক, গবেষক, সম্পাদক ও প্রকাশক- ‘এইচএমনিউজ২৪.কম’, বার্তা ও টেলিভিশন প্যাকেজ অনুষ্ঠান প্রযোজনা এবং চলচ্চিত্র পরিবেশনা ও প্রযোজনা সংস্থা ‘হোম মিডিয়া’র চেয়ারম্যান।